কর্মদক্ষতা (Efficiency)

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - পদার্থবিজ্ঞান - কাজ, ক্ষমতা ও শক্তি (Work,Power and Energy) | NCTB BOOK
1.6k
Summary

শক্তির রূপান্তর করার সময় কিছু শক্তি অপচয় হয়, তাই কাজের জন্য প্রয়োজনের চেয়ে বেশি শক্তি দিতে হয়। দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন যন্ত্র ও ইঞ্জিন ব্যবহারে ঘর্ষণসহ অন্যান্য কারণে শক্তির অপচয় ঘটে। এজন্য যন্ত্র বা ইঞ্জিনের শক্তি ব্যবহারের দক্ষতা মাপা প্রয়োজন। এই দক্ষতাকে শতকরা হিসাবে প্রকাশ করতে আমরা কর্মদক্ষতা ব্যবহার করি, যা নিচের সূত্র দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়:

  • কর্মদক্ষতা = (কাজের পরিমাণ / প্রদত্ত শক্তি) × 100
  • কর্মদক্ষতা = ((প্রদত্ত শক্তি – শক্তির অপচয়) / প্রদত্ত শক্তি) × 100

আমরা একটু আগে বলেছিলাম যে শক্তিকে তার একটি রূপ থেকে অন্য রূপে রূপান্তরিত করার বেলায় সব সময়ই খানিকটা শক্তির অপচয় হয়। কাজেই সব সময়ই আমরা যে পরিমাণ কাজ করতে চাই তার সমপরিমাণ শক্তি দিলে হয় না, একটু বেশি শক্তি দিতে হয়। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করি। নানা ধরনের ইঞ্জিন ব্যবহার করি। তার সব সময়েই দেখা যায় সেগুলোতে ঘর্ষণ বা অন্যান্য কারণে শক্তির অপচয় হয়। সেজন্য প্রায় সময়ই একটি যন্ত্র বা ইঞ্জিন কতটুকু দক্ষতার সাথে শক্তি ব্যবহার করছে আমাদেরকে তার পরিমাপ করতে হয়। সেজন্য আমরা কর্মদক্ষতা বলে একটি নতুন রাশি ব্যবহার করে থাকি। কর্মদক্ষতাকে শতকরা হিসাবে এভাবে লেখা 

কর্মদক্ষতা হচ্ছে: 

                 =(কাজের পরিমাণ/প্রদত্ত শক্তি)×100

                 =( (প্রদত্ত শক্তি – শক্তির অপচয়)/প্রদত্ত শক্তি) X 100 

 

Content added By
Content updated By
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...